শুভম উত্তর প্রদেশের একজন যুবক ছিলেন, যিনি ফেব্রুয়ারিতে সদ্য বিবাহিত হয়েছিলেন। তিনি তার স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের সাথে কাশ্মীরের পাহালগামে ছুটি কাটাচ্ছিলেন, যখন তিনি একটি নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
হামলার দিন বিকেলে, শুভম এবং তার স্ত্রী পাহালগামের পাহাড়ে ঘোড়ায় চড়তে গিয়েছিলেন। বিকেল প্রায় ৩টার সময়, পরিবারের কাছে একটি ফোন আসে যে তাকে গুলি করা হয়েছে, কিন্তু তার মৃত্যুর নিশ্চিতকরণ শুধুমাত্র সন্ধ্যায় একটি ভাইরাল ভিডিও এবং পরিবারের যাচাইয়ের মাধ্যমে আসে। তাকে মাথায় গুলি করা হয়েছিল, এটি একটি স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড ছিল।
হ্যাঁ। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পরিবারের সদস্যদের মতে, সন্ত্রাসীরা বিশেষভাবে হিন্দুদের লক্ষ্য করেছিল। তারা ধর্মের ভিত্তিতে মানুষ বাছাই করছিল, নাম জিজ্ঞাসা করছিল এবং এমনকি তাদের জীবন বাঁচাতে ইসলামী কালমা আবৃত্তি করতে বলছিল। পুরুষদের হত্যা করা হয়েছিল, যখন তাদের স্ত্রীদের কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেহাই দেওয়া হয়েছিল।
শুভমের স্ত্রী, যিনি তখন তার সাথে ছিলেন, এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিলেন। তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং তার স্বামীর রক্তে ভিজে গিয়েছিলেন। যখন তিনি নিজেও মারা যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন, হামলাকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে, বলেছিল যে তারা চায় তিনি গিয়ে সরকারকে বলুন কী ঘটেছে। তার বক্তব্য অন্যান্য ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্যের সাথে মিলে গেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছিল, যাদের মধ্যে অনেকেই নিহত হয়েছেন। হিন্দুদের লক্ষ্য করে নির্বাহী শৈলীর হত্যাকাণ্ড এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ইঙ্গিত দেয়।
শুভমের মরদেহ এখনও পাহালগামে রয়েছে, এবং পরিবারকে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে শ্রীনগরে ডাকা হয়েছে। তারা সরকারের কাছে সমর্থনের জন্য অনুরোধ করছে যাতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হয়। তারা জোর দিয়ে বলছে যে এটি শুধু একটি হত্যা নয়, বরং একটি নৃশংসতা যার জন্য তাৎক্ষণিক ন্যায়বিচার এবং স্বীকৃতি প্রয়োজন।
এই হৃদয়বিদারক ট্র্যাজেডি লক্ষ্যবস্তু হিংসার ধ্বংসাত্মক প্রভাবকে তুলে ধরে। শুভমের গল্প শান্তির ভঙ্গুরতা এবং এই ধরনের ঘৃণাপ্রসূত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার একটি বেদনাদায়ক স্মারক।